[ছড়াকার সাব্বির আহম্মেদ দীর্ঘদিন ধরে লিখছেন। আমাদের আজকের প্রজন্ম ও তাঁর সমসাময়িক সাহিত্যিকদের কাছেও পরিচিত। তাঁর ছড়া, কিশোর গল্প ও কিশোর উপন্যাস, অন্যান্য সাহিত্যকর্ম সম্পর্কে পাঠকদের কাছে তিনি ব্যাপকভাবে পরিচিত। তবে বেশ কিছুদিন ধরে পাঠকদের চোখের আড়ালেও থাকছেন তিনি। ইতোমধ্যে তিনি ছড়া, কিশোর উপন্যাস, শিশুতোষ গল্প ছাড়াও কম্পিউটার বিষয়ক বেশ কয়েকটি বইও লিখেছেন। এই বিশিষ্ট ছড়াকারকে পাঠকদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য ওম্যাসন্ নিউজ একটি পদক্ষেপ গ্রহণ করে। সে লক্ষ্যেই সম্প্রতি তাঁর একটি সাক্ষাৎ গ্রহণ করা হয়। এই সাক্ষাৎকারটি নিচে পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো। সাক্ষাৎকারটি আমাদের পাঠকদের জন্য সংগ্রহ করেছেন আতাতুর্ক কামাল পাশা : সাহিত্য সম্পাদক]
আতাতুর্ক কামাল পাশা : সালামো আলায়কুম। কেমন আছেন ইদানিং ?
সাব্বির আহম্মেদ : ওয়ালেকুম-আস-সালাম। আলহামদুলিল্লাহ। মহান রাব্বুল আলামীনের অপার কৃপায় বেশ ভালো আছি।
আ. কা. পাশা : আপনি তো দীর্ঘদিন বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে, সাপ্তাহিকে, মাসিক পত্র-পত্রিকায় ছড়া লিখছেন, অন্যান্য শিশুতোষ গল্পও লিখছেন। কিন্তু ছড়া লেখার প্রেরণা আপনি কোথা এবং কখন পান?
সা. আহম্মেদ : ছড়া সাহিত্যের প্রতি আমার ছোট বেলা থেকে আলাদা একটা আগ্রহ ছিল। ছড়া লেখার চেয়ে ছড়া পাঠে আগ্রহটা বেশি ছিল। সম্ভবত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে থাকাকালীন আমার একটা ছড়া ছাপা হয় সবুজপাতায়। সে সময়ে সম্পাদক লুবনা জাহান নতুনদের একটা পাতা দেখতেন। সেখানে আমি যে ছড়াটি পাঠিয়েছিলাম, তার কয়েকটি শব্দ পরিবর্তন করে তিনি ছাপিয়ে ছিলেন। সৌজন্য হিসেবে একটি পত্রিকার সংখ্যাও পাঠিয়েছিলেন আমাকে। সে সময় থেকেই আমার লেখার শুরু।
আ. কা. পাশা : প্রথম প্রকাশিত লেখার বিষয়ে আপনার অনুভূতি কি ছিলো ?
সা. আহম্মেদ : সে এক অন্যরকম অনুভূতি যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। বহুদিন আগে হলেও আজো সেদিনের কথা মনে পড়ে- আমার নামে পোস্ট অফিসের পিয়ন যখন একটি পত্রিকা দিয়ে যায়, তখন ভাবতেও পারিনি এ পত্রিকায় আমার লেখা ছাপা হয়েছে। সম্ভবত অক্টোবর নভেম্বর মাসের দিকে হবে, সামনে বাৎসরিক পরীক্ষা। পড়াশোনার চাপ অনেক। সে সময় অনেক প্রতিযোগিতা ছিলো ক্লাসে। প্রথম থাকাটাই ছিল আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জ। পিয়ন পত্রিকাটি বাসায় দিয়ে গেলে শিশুদের কবিতা, ছড়া, গল্পে পত্রিকাটি ঠাসা, দেখে খুব ভাল লাগল। সূচিপত্র দেখার আগ্রহও তেমন ছিল না। সামনে বাৎসরিক পরীক্ষা। পড়াশুনোয় ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। পত্রিকাটি দেখা হয় তারও বেশ কিছু দিন পরে। পরীক্ষা শেষ। অবসর সময় কাটা”িছ, আমাদের এলাকায় তখন বিদ্যুৎ ছিল না। আমরা হারিকেন জ¦ালিয়ে রাতে পড়তাম। এর আগে আমার এক আত্মীয় আমার হোমওয়ার্ক করা খাতায় বেশ কিছু লেখা দেখে জিজ্ঞেস করেছিলেন এগুলো তো তোমার বইয়ে নাই, কোথা থেকে লিখেছ? যখন তিনি শুনলেন আমি লিখেছি, তখন লেখাগুলো আবারো পড়ে বেশ প্রশংসা করেছিলেন। তিনি আরো বলেছিলেন সাহিত্য পত্রিকায় পাঠালে এসব ছাপা হবে। কীভাবে পাঠাবো তা জানতাম না। তাই আর পাঠানো হয়নি। তিনি সে সময় আমার একটি ছড়া ‘বিজয়ের গান’ নিয়ে যান। তারও বেশ কিছুদিন পর সেই আত্মীয় আমাদের বাড়িতে এলেন। তিনি আমার দিকে চেয়ে মৃদু হাসলেন। বললেন, পত্রিকাটি দেখেছো? আমি বললাম, দেখেছি। তিনি বললেন, ওখানে তোমার ছড়াটি ছাপা হয়েছে, পড়েছো না ? আমি তাড়াতাড়ি পাঠ্যবইগুলোর ভেতর থেকে পত্রিকাটি নিয়ে এলাম। সূচিপত্র না দেখে পৃষ্ঠাগুলো ওল্টাতে থাকলাম। শেষ পৃষ্ঠায় দেখলাম, আমার ছড়াটি ছাপা হয়েছে। ওপরে ছড়ার নাম তার নিচেই আমার নাম লিখা। আমি মনযোগ দিয়ে পড়তে শুরু করলাম। মাত্র চার লাইনের ছড়াটি। দেখি- ‘বিজয়ের গান’ বিজয় বিজয় বিজয়/চারদিকে আজ জয়োৎসব/হয়েছে বাংলার জয়।’ একবার পড়লাম, দুবার। আরো কয়েকবার পড়লাম। বিশ^াসই হ”িছল না যে পত্রিকায় আমার ছড়া ছাপা হয়েছে। সে থেকেই নিয়মিত ছড়া লিখতে থাকি আর পত্রিকায় পাঠাতে থাকি। কিন্ত প্রথম দিনের ছাপা ছড়াটি দেখে যে আনন্দ পেয়েছিলাম, সে রকম আনন্দের কথা আজো আমাকে শিহরিত করে, কী তৃপ্ততাটাই না পেয়েছিলাম সেদিন।
ছড়া
কাল বোশেখী ঝড়
সাব্বির আহম্মেদ
ঈশান কোনে মেঘ জমেছে
ডাকছে চরাচর
বইছে বাতাস মেঘের সাথে
মত্ত প্রলয় ঝড়।
ঝড়ের তোড়ে যাচ্ছে উড়ে
কারো ঘরের চাল
পাখির বাসা দিচ্ছে ভেঙে
ভাঙছে গাছের ডাল।
আকাশ কাঁপে বাতাস কাপে
ঘর কাপে থরথর
ঝড় এলো রে ঝড় এলো রে
কাল বোশেখী ঝড়।
আ. কা. পাশা : আপনার ছেলেবেলার দিনগুলো কীভাবে কেটেছে, তা নিয়ে কিছু বলবেন কি?
সা. আহম্মেদ : হাঁ, বলা যায়। কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলায় বরকরই গ্রামে আমার জন্ম। ১৯৭৮ সালের ২৫ অক্টোবর পূর্বাকাশ আলোকিত হওয়ার পূর্বে অন্ধকার আর আলো ছায়ার খেলার মুহূর্তে সুবহে সাদিকের সময় এ পৃথিবীতে আমার আগমন। আমার মা আনোয়ারা বেগম তখন সদ্য বিধবা। আয়-রোজগার করার মতো আমাদের পরিবারে কেউ ছিলো না। আমার নানুর কাছে শোনা- সেদিন ঘরে কেরোসিনের বাতি জ¦ালিয়ে আমার চেহারা দেখতেও কষ্ট হচ্ছিছল। ভোরের আলোয় চেহারা দেখেছিলেন আমার নানি হাসমতেন্নেসা। পরবর্তীতে নানিই আমার নাম রেখেছিলেন
মোহাম্মদ শিব্বির আহম্মদ। তারপর বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমার মন-মানসিকতাও বদলাতে থাকে। গ্রামেই প্রথম জীবনে বেড়ে ওঠা। কিš‘ বেশিরভাগ সময়ে পাখি, প্রজাপতি, ফড়িংয়ের পেছনে ছুটে বেড়ানো। এমন সময়ে একদিন আমার নানা গ্রামের মাদ্রাসায় নিয়ে গিয়ে ভর্তি করিয়ে দেন। সেখানে শুরু হয় আমার আ-বা-তা-সা আর অঙ্ক, বাংলা ছড়া পড়া। সেদিনের সুন্দর সবুজ বাংলা আজো আমাকে ছড়া লিখতে প্রলুব্ধ করে। মূলতঃ অনেক ছোট বেলা থেকে বাংলার প্রকৃতির সাথে আমার যে সখ্যতা গড়ে ওঠে, সে প্রকৃতিই আমাকে ছড়া লিখতে অনুপ্রেরণা দেয়।
আ. কা. পাশা : শুনেছি স্কুলে আপনার নাম শিব্বির আহম্মেদ রাখা হয়। কিন্ত লেখালেখিতে আপনার নাম সাব্বির আহম্মেদ দেখি। এটি কিভাবে সম্ভব হলো ?
সা. আহম্মেদ : দেখুন, আমার ডাকনাম সাব্বির। আমার আম্মা, নানা, নানী সবাই ওই নামেই ডাকতেন। পরবর্তীতে যখন লেখালেখি শুরু করি, তখন ওই ডাকনামটাই ব্যবহার করা শুরু করলাম। যদিও আমার স্কুলের খাতায় আগের নামটিই থেকে যায় কিš‘ বাইরে সবাই আমাকে সাব্বির বলে ডাকতে থাকে। একসময় এই নামটিই আমার পরিচিত বহন করতে থাকে।
আ. কা. পাশা : আপনার শিক্ষাজীবন সম্পর্কে কিছু বলবেন?
সা. আহম্মেদ : আমার শিক্ষাজীবন ছিল অনেক আনন্দের। আমার মা আনোয়ারা বেগম বাড়িতে আমাদের গৃহ-আঙিনায় সকাল বেলায় বাড়ির ছেলেমেয়েদের কোরআন শিক্ষা দিতেন। আমার আম্মা সেখানেও আমাকে আরবী পড়তে শেখান। বাড়িতে থেকেই গ্রামের মাদ্রাসা থেকেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হলে চতুর্থ শ্রেণি থেকে নানা বাড়ি এসে এসএসসি পরীক্ষা দিই। মজার বিষয় প্রাথমিক থেকে এসএসসি পর্যন্ত বরাবরই ক্লাসে প্রথম থাকতাম। কলেজ জীবন কাটে নানা বাড়ি এবং নিজের বাড়িতে থেকে দোল্লাই নবাবপুর কলেজে। স্নাতক লাভ করি কচুয়া বঙ্গবন্ধু ডিগ্রী কলেজ থেকে ১৯৯৭ সালে নিয়মিত ছাত্র হিসেবে। আর স্নাতকোত্তর করি ২০১৬ সালে অনিয়মিত ছাত্র হিসেবে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে।
আ. তা. পাশা : আপনার শৈশব-কৈশোরের স্মৃতিমূলক কিছু জানান ?
সা. আহম্মেদ : আসলে আমার শৈশবে যে অভাব ছিলো তা কখনো বুঝিনি। বড় হয়ে উপলব্ধি করতে পারছি। আমার শৈশবের সবচেয়ে আনন্দঘন স্মৃতি প্রতিবছর বাৎসরিক পরীক্ষার ফলাফল বের হওয়ার দিন, ভয়ে ভয়ে পরীক্ষার ফলাফল জানার জন্য যেতাম। অনেকটা দূরেই থাকতাম, কী জানি কী হয়, ক্লাশে অনেক মেধাবী ছাত্র ছিলো হয়তো দুই-এক নাম্বারের ব্যবধানে ক্লাশে প্রথম হওয়ার আনন্দ নিয়ে স্কুলের কারো সাথে কথা না বলে দৌড়ে মায়ের কাছে চলে আসতাম আর মাকে জানালে মা বলতো আমি জানতাম তুই সবচেয়ে ভালো করবি। মায়ের মুখেও সাফল্যের হাসি ফুটে উঠতো, কখনো কখনো আনন্দে তিনি কেঁদেও দিতেন। বলতেন তোর বাবা যদি এদিনটা দেখতো, কতো খুশিই না হতো।
একটা কষ্টের স্মৃতিও আছে সে সময়কার। আমার বাবার যে ঘরটিতে আমরা থাকতাম, সে ঘরটি তৃতীয় শ্রেণিতে থাকাকালীন একদিন রান্নাঘরের চুলা থেকে আগুন লেগে পুড়ে যায়। বাড়িতে দাউ দাউ করে আগুন জ¦লছে, বিভিন্ন লোকজন, পাড়া-প্রতিবেশি সকলের বিভিন্ন জিনিসপত্র ঘর থেকে উদ্ধার করছে। আর আমি জেঠার (বড় চাচা) কাছে আমার বই-পত্র পুড়ে যা”েছ বলে কান্না করছি, বলছি- আমার সবগুলো বই আগুনে জ¦লছে আমি এখন পড়বো কিভাবে। সেদিন জেঠা বলেছিলেন, তোমার বই পুড়ে গেলেও আমি তোমাকে আবার নতুন বই এনে দিবো। আমার জেঠা আবদুল করিম এখন আর বেঁচে নেই। তিনি থাকলে হয়তো দেখতেন আজ আমার ছোট্ট একটি লাইব্রেরীও আছে, যেখানে অনেক বই। আমার জন্মের পূর্বেই আমার দাদা-দাদী, নানা পরকালে পাড়ি জমান। শৈশবেই জেঠা আর এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন আমার নানি মারা যান, সে সময় আমি নানির বাড়িতেই ছিলাম। মায়ের চেয়েও বেশি আদুরে ছিলো আমার নানি, যার কাছে নয়-দশ বছর থেকে ১৭-১৮ বছর পর্যন্ত ছিলাম। নানির মৃত লাশ রেখে পরীক্ষা দিতে আসি। সে যে কেমন কষ্টের অনুভূতি শুধু ভুক্তভোগীরাই জানে।
আ. তা. পাশা : আপনার ছড়ায় বেশিরভাগ ¯’ানে দেখেছি, পাখি, জোনাক, প্রজাপতি, প্রকৃতি, ঋতু, দেশ, গ্রাম, গ্রামের ছবি, স্বাধীনতা বেশি আসে। আপনি শহরেও তো বেড়ে উঠেছেন। শহরের চিত্র কম আসে কেন?
সা. আহম্মেদ : দেখুন, আমি অনেক শৈশব থেকে ছড়া লিখি। অন্যান্য শিশুতোষ লেখাও লিখি। ওই যে ছেলেবেলা আর যুবক বয়সের অনেকটা সময় গ্রামে কেটে গিয়েছে। তাই আমার লেখা ছড়াগুলোতে গ্রাম আর সেখানকার প্রকৃতিই ফুটে ওঠে। আর যেহেতু ছেলেবেলা থেকেই ছড়া লিখে আসছি তাই, ছেলেবেলার বেশি ছাপ আমার লেখায় উঠে আসে। শহরে বসে ছড়া লিখি না কেন, লিখি। তবুও সেগুলোতে গ্রামের মানুষের সরলতা, গ্রামের সহজ-সুন্দর জীবনেরই ছবিই উঠে আসে।
আ. তা. পাশা : আপনার অনেক লেখা বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক পত্রিকা এবং সংকলনে প্রকাশিত হয়ে থাকে। শিশুতোষ ছড়া ও গল্প, কবিতা ও উপন্যাস এসব বিষয়ে পাঠকদেরকে আমরা পরবর্তীতে আপনার সাক্ষাত পেলে জানানোর চেষ্টা করবো। পাঠকদের উদ্দেশ্যে কিছু বলুন। আজ আমাদের শিশুতোষ লেখকদের উদ্দেশ্যে কিছু বলুন।
সা. আহম্মেদ : আমি শিশুতোষ লেখকদের উদ্দেশ্যে একটি জরুরি বার্তা দিতে চাই, তা হলো, আপনারা যা দেখবেন, তা-ই লিখবেন। লেখার সময় হুবহু সে দৃশ্যই ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করবেন। ভাষা থাকবে নিজের, তবে সহজ-সরল হতে হবে। প্রকাশভঙ্গি নিজের মতো করে নিতে পারেন তবে তাতে কোনো জটিলতা আনার প্রয়োজন নেই। আর যখন লিখবেন, তখন মনে রাখতে হবে এটি কতোটুকু জরুরি বিষয় যা পাঠকদের সামনে তুলে না ধরলেই নয়। এ চিন্তা সব সময় লালন করতে হবে। শুধু চকমকে বিষয় নিয়ে আর শেষ শব্দের সাথে কয়লার ইঞ্জিনের মতো ঝকঝকে অন্তমিল রেখেই মূল্যবান ছড়া লেখা হয় না। ছড়া লেখককে বাস্তব ঘটনা এবং তা আরো দশজন মানুষের কাছে এবং দৃষ্টিগ্রাহ্য- এমন পরিচিত বাস্তবতা, দৃশ্য, সামাজিক মূল্যবোধ নিয়েই লিখতে হবে। তাহলেই পাঠক মনে করতে পারবে, হায় রে, এতো আমাদেরই কথা বলছে, এতো আমাদেরই লেখক। আর, তার সাথে সাথে অন্যান্য ভাল ছড়াকারদেরও লেখা নিয়মিত পড়তে হবে এবং নিজের ছড়াগুলো ওসবের সাথে বিশ্লেষণ করতে হবে।
আ. তা. পাশা : আজকের দিনে আমাদের সাহিত্যিকদের কি তেমন মূল্যায়ন হচ্ছে ?
সা. আহম্মেদ : একজন সাহিত্যিক বা লেখকের তেমন কোন মূল্যায়ন হতে তো আজকাল খুব একটু দেখছিনে। কখনো কোন অনুষ্ঠানে হয়ত একটি ক্রেস্ট আর এক টুকরো কাগজ ধরিয়ে দিয়েছ, তা ছাড়া তো আর কিছু হচ্ছে বলে দেখছিনে।
আ. তা. পাশা : আজ আপনার কাছ থেকে অনেক মূল্যবান কথা শুনলাম। বেশ ভাল লাগল। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ছড়াকাররাও আপনার এসব উপদেশে উপকৃত হবে। আমাদের সময় দেবার জন্য ধন্যবাদ।
সা. আহম্মেদ : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।